রাজ্য সরকারের গণপূর্ত বিভাগ দ্বারা পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গের 15 টি রাজ্য মহাসড়ক (National highways in west Bengal) রয়েছে। তাদের সাথে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক উন্নতি লাভ করেছে ৷ বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নতি করতে তৈরি হবে আরও দুটি জাতীয় সড়ক তৈরী করা হবে। অভ্যন্তরীণ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করে তুলতে নতুন দুটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই দুটি জাতীয় সড়ক নির্মাণ কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে চলেছে রাজ্যসরকার। নবান্নর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে লোকসভা ভোটের আগেই নতুন দুটি জাতীয় সড়ক (National highways in West Bengal)-এর কাজ শুরু করা হবে। সেই জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করছে রাজ্য সরকারের কার্যকরী সমিতি।জানা গেছে এই রাস্তা তৈরি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়ে গিয়েছে।
জাতীয় সড়ক দুটি তৈরি হলে একাধিক জায়গায় সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যাবে, দূরত্ব কমবে স্থানগুলির মধ্যে, ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার বাড়বে। নতুন জাতীয় সড়কপথের মাধ্যমে ব্যবসায়িক জিনিসপত্রের আমদানি-রপ্তানির সুবিধা হবে। এরফলে রাজ্যের নানা উন্নতি ঘটবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দুটি জাতীয় সড়কের কাজ শুরু করে রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধীদের চাপে ফেলা যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। কাজ শুরু করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে যাবতীয় আলোচনা সেরে ফেলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
কোন কোন রাস্তা:
নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, ডানকুনি–বারাণসী এবং খড়গপুর থেকে মুর্শিদাবাদের মোড়গ্রাম পর্যন্ত এই দুটি জাতীয় সড়ক (National highways in West Bengal)তৈরী হবে। নবান্নে এই নতুন দুটি জাতীয় সড়ক বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও সম্পন্ন হয়ে গেছে । মূলত ফাঁকা জমির উপর দিয়েই গড়ে তোলা হবে দুটি জাতীয় সড়ক পথ। এর জন্য কারুর কোনো ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। জাতীয় সড়ক নির্মানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন। তাই এই দুটি নতুন জাতীয় সড়কপথ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও একটি আলোচনা সম্পন্ন করেছে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও সম্মতি জানিয়েছেন।
এদিন বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই নতুন দুই জাতীয় সড়ক (National highways in west bengal) গড়তে জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ক্ষতিপূরণ বাবদ কত টাকা দেওয়া হবে সেই কাজও ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। নভেম্বর মাসের মধ্যেই সমীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব।এই বৈঠকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে রাজ্যের মধ্যে থাকা অন্যান্য জাতীয় সড়কগুলির অবস্থা নিয়েও রিপোর্ট নেন মুখ্যসচিব। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসককে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পথের মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করতে। এই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের উপকারে লাগবে বলেই মনে করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।