পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করল তারই মাঝে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। তার ফলে ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট (Weather report) অনুযায়ী এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কোথায় কোথায় জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আগামী শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে তারই প্রভাবে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরীর পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও ভারী আবার কোথাও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী গত সোমবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও মালাক্কা প্রণালীর উপর একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। বুধবার পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার ফলে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিক আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে।
এর ফলে ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই চাষীদের মাথায় হাত। বাংলার মাঠে মাঠে এখন চলছে ধান কাটার পালা। এর মাঝে এমন দুর্যোগের কথা শুনে বঙ্গবাসীর কপালে ভাজ পড়েছে।
তবে জানা গেছে যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কলকাতা হাওড়া হুগলি বর্ধমান বাঁকুড়া বীরভূম প্রভৃতি জেলায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দুই চব্বিশ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় আকাশ মেঘলা থাকবে। তবে বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে উত্তরবঙ্গে। ভিজতে পারে কালিম্পং ও দার্জিলিং।
শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী আগামী রবিবার আরও ঘনীভূত হবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। সোমবার আছড়ে পড়তে পারে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলে। তার ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্র ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে।
এরপর কোন দিকে যাবে সেরকম কোন আপডেট দিতে পারেনি মৌসম ভবন।