New date for primary tet : ১০ ডিসেম্বর হচ্ছে না প্রাইমারি টেট। জানুন কবে হবে!

Primary New date for primary tet: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেটের (primary tet) দিন পরিবর্তন করলো পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (wbbpe)। পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু পরীক্ষার ৫ দিন আগে তা পরিবর্তন করা হল। কবে পরীক্ষা হবে তাও সোমবার জানানো হল ( primary tet  new date )।

wbkhabar.com:  আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেট হবে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ( West Bengal Board Of Primary Education ) জানিয়েছিল, ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২:৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে।কিন্তু সোমবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক টেটের (primary tet) দিন পরিবর্তন করলো পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (wbbpe)। পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু পরীক্ষার ৫ দিন আগে তা পরিবর্তন করা হল। কবে পরীক্ষা হবে তাও সোমবার জানানো হল (New date for primary tet)।

কিন্তু আজ আবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানালো যে, ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার । তবে পরীক্ষা একই সময়ে হবে। এর কোনও বদল হচ্ছে না। পর্ষদ কী কারণে এই দিন বদল করলো তার তেমন কোনো জানানো হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু জানানো হয়েছে, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার তারিখ বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আমরা এ বারের পরীক্ষায় বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি যাতে পরীক্ষা একেবারে নির্বিঘ্নে সুসম্পন্ন হয়। সেজন্য ১০ ডিসেম্বর এর মধ্যে সেইসব কাজ শেষ করা যাবে না। তার জন্য বোর্ডের কিছুটা সময় লাগবে । তাই পরীক্ষার দিন পিছনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।’’

আগের বার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর,২০২২ এ বি এড (b ed) প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আবেদনকারীরা প্রাইমারি টেট দিতে পেরেছিল। কিন্তু এ বার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যারা বিএড প্রশিক্ষন প্রাপ্ত তাঁরা এ বছর টেটে (primary tet 2023) বসতে পারবেন না। তবে ডিএলএড (D.El ED) এবং অন্যান্য প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরাও এবার টেট দিতে পারবেন। গত বছরের টেটে যাঁরা উত্তীর্ণ হয়নি (fail) তাঁরাও নতুন করে এ বছর আবেদন করতে পারবেন।

গত বছরের মতো এ বছরও পরীক্ষার নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, সিসিটিভির (cctv) নজরদারি এবং বায়োমেট্রিক – সব রকম ব্যবস্থা এবারও থাকছে পরীক্ষার্থীদের জন্য। অতিরিক্ত নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম খোলা হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কম।প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে । এ বিষয়ে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে , ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সেখানে ডিএলএড ও বিএড এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করেছিল । কিন্তু ২০২৩ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে শুধুমাত্র ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই আবেদন করতে পেরেছে । তাই এ বছর আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে । পর্ষদ ঘোষণা করেছে এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে ।

২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় পাস হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী প্রাইমারি টেটে আবেদন করতে পারবেন না বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। 

দীর্ঘ আন্দোলনের পর ৫ বছর পর ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট হয়েছিল। যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। আর পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৫ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। ২০২৩ সালে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে পর্ষদ। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শেষ হয় ৪ অক্টোবর। টাকার মূল্যও বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা করা হয়।

Leave a Comment