NIOS primary tet : প্রাইমারি টেট দিতে পারবে কি NIOS পাস প্রার্থীরা! কি বললো সুপ্রিম কোর্ট?

NIOS primary tet: NIOS থেকে D.EL.ED করা পরীক্ষার্থীরা চিন্তিত তারা এবার পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা। তারাও ঠিক ভাবে প্রস্তুতি হতে পারছে না পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা দেওয়ার পর উত্তীর্ণ হলেও তারা সুযোগ পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।

WBKHABAR.COM: NIOS D.EL.ED এবার টেট (TET 2023) দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত (suprime court) রায় জানিয়েছেন। NIOS থেকে D.El.Ed করা প্রার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ‘১৮ মাসের NIOS D.El.Ed কোর্স ২৪ মাসের D.El.Ed কোর্সের সমান হতে পারে না।’

উত্তরাখণ্ডের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এই সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের যোগ্য নন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে NIOS D.EL.ED সংক্রান্ত একটি মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল । সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে , প্রাথমিক শিক্ষা (primary education) বোর্ডের তা কাছে জানতে চান বিচারপতি।

আগামী ৪ জানুয়ারি আবারও কলকাতা হাইকোর্টে NIOS D.EL.ED এর বিষয়টি উঠবে। তার আগেই প্রার্থীদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে জানিয়ে দিতে হবে। কেননা সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন চার হাজার প্রার্থী।

প্রসঙ্গত, এনআইওএস (NIOS) থেকে ডিএলএড (D.EL.ED ) প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে। ২০২২ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রার্থীদের পক্ষে দেওয়া রায় ও নির্দেশ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে NIOS থেকে D.EL.ED চাকরির প্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ থেকে বাদ পড়েছে । বিহারের পাটনা হাইকোর্টের দেওয়া একই সিদ্ধান্তেও বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এনসিটিই (NCTE) কেন এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেনি? তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। 

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট পরিক্ষার দিন পিছিয়ে দিয়েছে। তবে পরীক্ষা একই সময়ে হবে। এর কোনও বদল হচ্ছে না। পর্ষদ কী কারণে এই দিন বদল করলো তার তেমন কোনো কারণ জানানো হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু জানানো হয়েছে, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার তারিখ বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো এডমিট কার্ড (admit card) কবে থেকে পাওয়া যাবে তা ঘোষনা করেনি।

NIOS থেকে D.EL.ED করা পরীক্ষার্থীরা চিন্তিত তারা এবার পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা। তারাও ঠিক ভাবে প্রস্তুতি হতে পারছে না পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা দেওয়ার পর উত্তীর্ণ হলেও তারা সুযোগ পাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তার আগে বি এড (B ED) প্রশিক্ষিতরা এবারে পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলো।

দীর্ঘ আন্দোলনের পর ৫ বছর পর ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট হয়েছিল। যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। আর পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। ২০২৩ সালেও পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে পর্ষদ। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শেষ হয় ৪ অক্টোবর।এছাড়া, এবারে পরীক্ষার ফি হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা করে নিয়েছে।

Leave a Comment