মহেন্দ্র সিং ধোনির জার্সি (MS DHONI JARSEY) :
রিটায়ার (retire)করা হলো মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni Jarsey) সাত নম্বর জার্সিকে। ৭ নম্বর জার্সি আর মহেন্দ্র সিং ধোনি একে অপরের সমার্থক। ট্রফির বিচারে ভারতের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অধিনায়ককে, সাত নম্বর (7 no jarsey ) জার্সি ছাড়া ভাবাই যায় না। ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের (Sachin Tendulkar) পর ধোনিকে লেজেন্ড মানলো বিসিসিআই (BCCI)।
কেন রিটায়ার করা হলো :
অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ভারতকে সব ট্রফি জিতিয়েছে। বিশ্বে আর কোনো অধিনায়ক ICC স্তরে সব ট্রফি জিততে পারেনি। সেই জন্য ধোনির জার্সিকে অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে BCCI. কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের গায়ে আর সাত নম্বর জার্সি উঠবে না। আসলে তা মেনে নিতে পারবেন না ধোনির ভক্তরা। ধোনি ছাড়া যেন অন্য কাউকে 7 নং জার্সি মানায় না।
২০১৭ সচিনের 10 নং জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই (BCCI)। এবার ধোনির জার্সির সঙ্গেও সেটাই করল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ধনী ক্রিকেট বোর্ড। সচিনের ১০ নম্বরের পর এবার ধোনির ৭ নম্বর জার্সিকেও অবসরে পাঠাল বিসিসিআই। ভবিষ্যতে আর কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার এই জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলতে পারবেন না। সচিন-ধোনিকে এমনই সম্মান জানাল বোর্ড।
কৃতিত্ব :
সচিনের পর ভারতীয় ক্রিকেটের সুপার হিরো (superhero) হলো ধোনি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১১ সালে ভারত ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে। তারপর একাধিক বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জেতা হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির অবদান নিয়ে সম্ভবত একটা উপন্যাস রচনা করা যাবে। তিনি আজও কোটি কোটি তরুণের অনুপ্রেরণা।
ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 world cup 2007), ২০১১ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ (ODI Worldcup 2011), ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (champions trophy 2013) সব ভারত জিতেছে। তারপর থেকে ভারতের ভাড়ারে আর কোনো ট্রফি ঢোকেনি।
বিগত ১০ বছর বিরাট কোহলি থেকে রোহিত শর্মার হাতে উঠেছে অধিনায়কত্বের ব্যাটন । ফাইনাল – সেমিফাইনালে গেলেও কেউই দেশকে জেতাতে পারেননি আইসিসি-র (ICC) ট্রফি।
ক্যারিয়ার (Ms Dhoni career):
একদিনের ম্যাচ (ODI)-৩৫০
রান – ১০ হাজার ৭৭৩
গড় – ৫০.৫৭
শতরান-১০ টি ও অর্ধ শতরান -৭৩টি।
টি২০(T20)
ম্যাচ -৯৮
রান ১৬১৭
গড় ৩৭.৬০।
স্ট্রাইক রেট ১২৬.১৩।
টেস্ট (test)
ম্যাচ -৯৭টি
রান -৪৮৭৮
শত-৬ টি ও অর্ধ শত -৩৩টি।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার ধোনিকে আজও বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে ধরা হয়। উইকেটের পিছনে তাঁর হাত ম্যাজিকের মতো কাজ করত। ঠান্ডা মাথায় প্রায় হারা ম্যাচকে জিতিয়ে দেওয়ার মন্ত্র জানতেন বলেই তিনি সেরার সেরা ফিনিশার। ক্যাপ্টেন কুল (captain cool) নামে তিনি পরিচিত পেয়েছেন।
আরোও পড়ুন: ঝাড়ুদার রিঙ্কু সিংহ থেকে ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং হয়ে ওঠার কাহিনী
শচীনের জার্সিও অবসরে :
ক্রিকেট ভগবান, লিটল মাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) ১০ নম্বর জার্সির ক্ষেত্রেও এমনটা করা হয়েছিল। তবে কেরিয়ারের শুরুতে শারদুল ঠাকুর (shardul thakur) ১০ নং জার্সি পরতো। যা মেনে নিতে পারেনি ক্রিকেট ভক্তরা। তারপরই ১০ নং জার্সিকে অবসরে পাঠানো হয়। অর্থাৎ আর কেউ ১০ নং জার্সি পরতে পারবে না।
রিটায়ার করা হয়েছে আরো জার্সি :
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও ক্রিকেটার ১ থেকে ১০০ র মধ্যে যেকোনো জার্সি নম্বর বেছে নিতে পারে। তবে ভারতে সেই নিয়মে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধু ক্রিকেটেই নয় ফুটবল ও বাস্কেটবলেও জার্সি রিটায়ার এর ইতিহাস রয়েছে। শিকাগো বুলস মাইকেল জর্ডনের বিখ্যাত ২৩ নম্বর জার্সি আর কাউকে দেয়নি। নাপোলিও একই ভাবে দিয়েগো মারাদোনার ১০ নম্বর জার্সি আর কাউকে পরতে দেয় না।