WB Khabar: আবারো চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে কোভিড 19 (COVID 19) এর নতুন উপরূপ জে এন ১ (COVID-19 sub-variant JN 1)। আমেরিকা চীন সহ অন্যান্য দেশেও সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। ভারতীয় বেশ কিছু জায়গায় JN.1 এর সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। জে এন.১ কতটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে তা নিয়ে চিকিৎসা মহলে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জে এন.1 কি? What is COVID-19 sub-variant JN 1?
ওমিক্রণের (Omicron) এই নতুন রূপ জেএন.১ (JN.1) খুবই সংক্রামক। দিন দিন এর সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা চিন্তায় পড়েছেন। বিগত দিনের বিভীষিকার কথা মাথায় রেখে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোভিড ১৯-এর প্রভাব অর্থনীতি থেকে শিক্ষা সব ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছিল। সেই বিপদ যাতে আর ঘুরে না আসে তার জন্য প্রথম থেকেই যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। মেনে চলতে হবে বিভিন্ন বিধি নিষেধ।
চিকিৎসকের পরামর্শ:
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনার (COVID 19) বিধি-নিষেধ যা ছিল, তাই মেনে চলতে হবে। ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর হলে নিজেকে আলাদা রাখুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। ভিড় বা জমায়েত এলাকাতে যাবেন না। যেসব ক্ষেত্রে সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি, সেখান থেকে এড়িয়ে চলুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। জ্বর বা সর্দি কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। যাদের কোভিসিল্ড (Covisild) বা কো ভ্যাকসিন (Co Vaccine) নেওয়া আছে তারা এটা মোটেও ভাববেন না যে তাদের জে এন ১ সংক্রমণ হবে। না এই ধারণা ভুল। COVID-19 sub-variant JN 1 প্রত্যেকেরই হতে পারে।
তবে JN.1 এর প্রভাবে কোন গুরুতর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না বা এর সাইড এফেক্ট এখনো পর্যন্ত গুরুতরভাবে প্রকাশ পায়নি।
কাদের জন্য এটা ভয়ংকর হতে পারে?
- চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যারা বয়স্ক অর্থাৎ যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি
- যারা স্টেরয়েড নেন।
- যাদের ফুসফুসে সংক্রমণ আছে
- অথবা যাদের শ্বাসকষ্ট আছে
- যাদের ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) কম
- শিশুদের ক্ষেত্রেও চিন্তার কারণ।
তাদের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা বেশি
কোথায় চিকিৎসা করবেন?
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হাসপাতালে যেতে পারেন। তবে এর জন্য হাসপাতাল বা নার্সিং হোম এ ভর্তি নাও করতে পারেন। কয়ারেন্টাইন এর কোনো প্রয়োজন নেই। সাবধানতা অবলম্বন করে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করালে বিপদ কেটে যেতে পারে।