Bankura 1 BDO office news: বাঁশ দিয়ে হচ্ছে ঢালাই!

ঢালাই হচ্ছে বাঁশ দিয়ে।বাকুড়ায় (Bankura 1 BDO office news) একটি আই সি ডি এস (ICDS) কেন্দ্রে লোহার রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ঢালাই হচ্ছে শোকপিটের। বাঁশের ফালি দিয়ে হচ্ছে ঢালাই।

WBKHABAR.COM : ঢালাই হচ্ছে বাঁশ দিয়ে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ঢালাই হচ্ছে শোকপিটের। বাঁশের ফালি দিয়ে হচ্ছে এই ঢালাই।

Bankura 1 BDO office news
Credit : Bartoman

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের লেগো গ্রাম পঞ্চায়েতের সাগরমেজে গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রে।

‘স্বচ্ছ ভারত মিশন গ্রামীণ’ প্রকল্পে দ্বিতীয় দফায় ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল ও স্কুলের চারপাশ পরিষ্কার পরিছন্ন করে রাখতে হবে। জল সরোবরাহ ঠিক ঠাক রাখতে হবে। কিন্তু এখনো বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্কুলে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

বাঁকুড়া ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এর অন্তর্গত বিভিন্ন স্কুল ও আইসিডিএস (ICDS) কেন্দ্রে শোকপিট নির্মাণের টেন্ডার দেওয়া হয়। স্থানীয় এক ঠিকাদার সেই টেন্ডার পান। কিন্তু কাজের সময় অভিযোগ আসে ওই ঠিকাদার শোকপিটের ঢাকনা তৈরির সময় লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশের ফালি ব্যবহার করে রাতারাতি ঢালাই করার চেষ্টা করেছেন।

বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দেন। সংবাদমাধ্যমে খবরটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।এই খবরে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন। সঙ্গে সঙ্গে সাগরমেজে গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্রের শোকপিট নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি ওই ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ওই ঠিকাদার ভবিষ্যতে পঞ্চায়েত, ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির কোনও কাজের টেন্ডার পাবেন না।

পাশাপাশি এই ঘটনার পূর্ন তদন্ত করে ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতি। কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি জানান, ঠিকাদারের এই রকম খারাপ কাজের জন্য তাঁকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁকে দিয়ে আর কোনো কাজ করানো হবে না । নতুন করে যাকে টেন্ডার দেওয়া হবে তার উপর পুরো নজর রাখা হবে যাতে করে এরকম ঘটনা আর না ঘটে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “দিনের বেলায়কাজ করার কথা  হলেও ঢালাই হচ্ছে সন্ধ্যা বেলা।লোকের নজর এড়াতে ঠিকাদার এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।সন্ধ্যার সময় বাঁশের বাতা বিছিয়ে তার উপর ঢালাই করা হচ্ছিলো।বিষয়টি আমাদের নজরে না এলে এভাবেই সরকারি টাকা আত্মসাত করা হতো”।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, টিউবওয়েলে জল খেতে এসে ছোট ছোট শিশুরা এই দুর্বল শোকপিটের উপর দিয়ে চলাফেরা করত। তখন কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কি হতো কে জানে। ভাগ্যিস বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। তা না হলে বাঁশের বাতা দিয়ে ঢালাই করা ঢাকনা ভেঙে যে কোনও সময় বড়ো সড়ো একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। আমরা বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করেছি।

Leave a Comment