Uttarakhand tunnel rescue: পাঠানো হত তাস, লুডো।সুড়ঙ্গে কেমন ছিল শ্রমিকরা?

Uttarakhand tunnel rescue: উত্তরাখন্ড এর ভাঙা সুড়ঙ্গে (uttarakhand tunnel crash) টেলিফোনের মাধ্যমে শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত বাড়ির লোকের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলো।তার ব্যবস্থা করে দেয় BSNL সংস্থা। ৪১ জনের জন্য রোজ নতুন নতুন পুষ্টিকর খাবার এবং খেলার জন্য তাস, লুডো দেওয়া হয়েছিল Uttarakhand tunnel rescue টিমের পক্ষ থেকে।

Uttarakhand tunnel rescue:

উদ্ধার হলো উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিক।১৭ দিন পর উদ্ধার করতে সফল হলো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)।সুড়ঙ্গের মুখ ধসে যাওয়ার কারণে পাথর সরে যেতে সমস্যা আরও সৃষ্টি হয়েছিল। মঙ্গলবার সবাইকে সুস্থভাবে বের করা হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই সারা ভারতবাসী খুশি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবাই শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসিয়ে দিচ্ছে।

কি ঘটেছিল 

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ একটি সুড়ঙ্গের একাংশ ভেঙে পড়ে। ফলে ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে থেকে যান ৪১ জন শ্রমিক। সেই ঘটনার ১৭ দিন পর উদ্ধার হলো ।

সুড়ঙ্গে কিভাবে দিন কেটেছে

তাঁদের সুস্থ রাখতে ও উদ্ধারের চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি উদ্ধারকারীরা। সুড়ঙ্গপথে খাবার ওষুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস সরবরাহ করা হয়েছে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের সঙ্গে নিয়মিত সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হয়েছে । কিন্ত বারবার ধস নামার জন্য উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছিল। উত্তরাখন্ড এর ভাঙা সুড়ঙ্গে ( uttarakhand tunnel crash) টেলিফোনের মাধ্যমে শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত বাড়ির লোকের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলো।তার ব্যবস্থা করে দেয় BSNL সংস্থা।৪১ জনের জন্য রোজ নতুন নতুন পুষ্টিকর খাবার যোগান দেওয়া হয়েছে। খেলার জন্য তাস, লুডো সব কিছু দেওয়া হয়েছিল।

উদ্ধার কার্য কিভাবে হয়েছে :

শ্রমিকদের উদ্ধারকার্যের জন্য একটি বিশেষ অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছিল । ভাঙা সুড়ঙ্গে ধসে যাওয়া পাথরকে ফুটো করে তিন ফুটেরও কম দৈর্ঘ্যের একটি পাইপ ঢোকানো হয়।যেটা দিয়ে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসে।’আমেরিকান অগার’ নামে ওই খননযন্ত্র সহজেই ৭০ মিটার পাথর কেটে ফেলতে পারে।খননযন্ত্রটি ঘণ্টায় ৫ মিটারেরও বেশি পাথর কাটতে পারে। অত্যাধুনিক যন্ত্রটির পাইপের এক দিকের মুখ সুড়ঙ্গে ঢোকানো হয়েছে। দ্বিতীয় অংশটি ঢালাই করা হচ্ছে। উদ্ধারকার্যের সময় সুড়ঙ্গে খননকাজ চালানোর সময় নানান বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাই এতদিন সময় লাগে ।মাঝে আমেরিকার অত্যাধুনিক যন্ত্রটি বিকল হলো। পাথর কাটার সময় লোহা ও ইস্পাত থাকার জন্য যন্ত্রটি অকেজো হয়ে পড়ে। তবে আবারও যন্ত্রটি সারিয়ে কাজ হয়েছে । আশঙ্কা করা হয়েছিল যন্ত্রটি সরানো যাবে না। তবে শেষ অবধি সফলতা এসেছে।

তাইল্যান্ড উদ্ধারকারি সংস্থা:

উত্তরাখন্ড সরকার শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করতে তাইল্যান্ডের একটি সংস্থাকেও ডেকে পাঠিয়েছে । ২০১৮ সালের জুন মাসে তাইল্যান্ডের একটি গুহা বন্যার জলে ভেসে গিয়েছিল। তাতে আটকে পড়েন ১২ জন খুদে ফুটবলার এবং তাদের কোচ। সেই সময় অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তাদের উদ্ধার করে এনে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয় তাইল্যান্ডের ওই উদ্ধারকারী সংস্থা। এ বার এখানেও সেই সংস্থার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছে উত্তরাখন্ড সরকার।

কারা উদ্ধারকার্যে যুক্ত ছিল 

বৃহস্পতিবারের মধ্যেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে যেত।কিন্তু নতুন করে ধস নামায় সমস্যা তৈরি হয়। ১৬০ জন উদ্ধারকারী উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে।রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজ়ের বাহিনী।

পরবর্তী ব্যবস্থা

সুড়ঙ্গের বাইরে অস্থায়ী মেডিকেল শিবির তৈরী করা হয়েছিল।৪১ জন্য শ্রমিকের জন্য ৪১ জন্য ডাক্তার ছিল। প্রত্যেকর জন্য আলাদা বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এখনো সবাই সুস্থ রয়েছে। একসময় সবাইকে বাঁচানো যাবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল। শ্রমিক এবং তাদের বাড়ির লোকেরা ভীষণ খুশি। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ১ লক্ষ টাকা ঘোষনা করেছে। তিনি জানান,” শ্রমিকদের সুস্থ রাখার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কেউ ক্রিটিকাল নয়। সবাই সুস্থ রয়েছে।তবে কিভাবে ধস নামলো সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী ধামিকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবার খোঁজ নিয়েছেন। এছাড়া অনেক রাজনৈতিক নেতারা সবার খোঁজ নিয়েছে। 

Leave a Comment